প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে আদালত এলাকা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, আদালত থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪)।
তিনি আনসার আল ইসলামের আসকারি শাখার সদস্যদের রিক্রুটের দায়িত্ব পালন করতেন। বরখাস্ত মেজর জিয়ার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও গ্রেপ্তার আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব পালন করত রাফি। আদালত থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। রাফি আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় অন্যান্য আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং পরিকল্পনার বিষয়ে অন্যদের জানায়। এরপরই কাজে নামে তারা।
গত রোববার (২০ নভেম্বর) ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান জঙ্গিরা। সেদিন দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
পলাতক দুই আসামি হলেন- মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল। শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের মাধবপুর গ্রামে। সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেটোশ্বর গ্রামে।
রোববার ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় তাদের হাজির করা হয়েছিল। হাজিরা শেষে হাজতখানায় নেয়ার পথে জঙ্গি ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে। এরপর কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৭-৮ জনকে।